আমি বাঙালি আমি গর্বিত আমি বাঙালি,
সত্য কি আমি গর্বিত বাঙালি ?
বহু পুরানোএকটা জোকস দিয়ে লেখাটা শুরু করি-
এক নেতা তার সাগরেদ দের নিয়ে এক জনসভায় যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করল।
পুলিশ এবং প্রেস ঘটনাস্থলে যেয়ে দ্যাখে এক বৃ্দ্ধ তাদের সবাই কে কবর দিয়ে দিয়েছে ।
পুলিশ বৃ্দ্ধ কে জিগেস করে- কেউ বেঁচে নেই?
বৃ্দ্ধ- নাহ, তবে ওদের নেতা বলছিল যে সে বেঁচে আছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি.। জানেন ই তো নেতারা সবসময় মিথ্যা বলে.।
এবার একটা করুন বাস্তবতার রম্য চিত্রে এ আসি-
কিছুদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-
'দেশে দ্রব্য মুল্য সহনীয় পর্যায়ে আছে, এবং জনগন বেশি করে খাচ্ছে।'
এবার প্রধান্মন্ত্রী এর পুরান আর একটা কউতুক এ আসি-
নীর্বাচন এর আগে প্রতিশ্রুতী হিসেবে বললেন-
'আওআমী লীগ কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ১০ টাকা কেজি চাল/ডাল খাওয়াব।'
বর্তমানের দ্রব্য মুল্যের সামান্য তথ্য(যা সবার ই জানা)-
চাল- ৫০ টাকা কেজি
ডাল- ১২০ টাকা কেজি
তেল- ১২০ টাকা লিটার
পেয়াজ- ৫০ টাকা কেজি
মরিচ- ২০০ টাকা কেজি
এক কেজি সবজির দামের সাথে ২০ টাকা যোগ করলে এক কেজি পোলটি মুরগির মাংসের দাম হয়।
একজন রিকশা ওয়ালা দিনে খুব বেশি হলে ২০০ টকা আয় করেন।দিন মজুর ১৪০ টাকা আয় করেন।বাংলাদেশ এর প্রায় ৫০ ভাগ লোকের দৈনিক আয় ১৪০ এর নিচে। এমতাবস্থায় একটা পরিবার কিভাবে তিনব্যালা পেটপুরে খেয়ে বেঁচে আছে [প্রধানমঅন্ত্রী এর ভাষ্য মতে] তা আমি বুঝতে পারছিনা।
বর্তমান অবস্থা্য আমরা হাসব না কাঁদব বুঝতাছিনা।শুনেছি আজকাল মানুষ তিন বেলার স্থানে অনেকে দুবেলা খায়।
আরও কিছু তথ্য দেই- গত বছর ইন্ডিয়া থেকে ৫০০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়।এবং ২৪ টাকা দরে সরকারি ভাবে বিক্রি করা হয়।যার পুর অংশটাই ছিল পঁচা।রান্না করার ২ ঘন্টার মাঝেই ভাত নস্ট হয়ে যেত।
ইন্ডিয়ার পঁচা চাল যা সেই দেশের গরু, ছাগল ও খায়নি তা আমার দেশের মানুষ গোগ্রাসে খেয়েছে।
ব্রাজিলের গমের কথাতো কম বেশি সবারই জানা।
পদ্মা সেতুর ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতি, সুরঞ্জিজিত বাবুর কালো বিড়াল প্রসঙ্গ, বাদ দিয়ে এদেশে শিক্ষাকে করা হয় বানিজ্য । শিক্ষার উপর আরোপ করাহয় শুল্ক .........
এরকমের অনেক কিছুই আছে যা সাধারন মানুষের জানা নেই.........
মাননীয় ,
বাংলাদেশের এই ৫০ ভাগ মানুষ আপনার কাছে প্রতি সন্ধায় হুইস্কি বা বিয়ার, বোতল বন্দি পার্টি চায়নি, প্রতিমাসে একবার সিঙ্গাপুর এ ৫ তারা হটেল এ ঘুরতে যাওয়ার খরচ চায়নি, রাত কাটানর জন্য তরতাজা তরুন বা তরুনী চায়নি, সংসদ সদস্যদের আসাধু উপায়ে আয় করা টাকার ট্যক্স চায়নি, তাদের সন্তান দের স্ক্লাস্টিকা বা এন এস ইউ তে পরানোর খরচ চায়নি।
আপনার কাছে শুধু ৩ ব্যালা পেটপুরে ভাত খেতে চেয়েছে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আমার দেশের মানুষ সহজ সরল। কিন্তু যখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায় আমরা তখন ভয়ঙ্কর রুপ নিতে পারি, এর আগে জনগন বহুবার এর প্রমান দিয়েছে।
প্রধান মন্ত্রী জনাবা, ফাকা বুলি না দিয়ে,দয়া করে আমাদের ৩ ব্যালা পেটপুরে খাওয়ার বাবস্থা করেন।
নইলে রফিক আজাদ এর মত কয়েক কোটি মানুষ বলবে
' ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো'
সত্য কি আমি গর্বিত বাঙালি ?
বহু পুরানোএকটা জোকস দিয়ে লেখাটা শুরু করি-
এক নেতা তার সাগরেদ দের নিয়ে এক জনসভায় যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করল।
পুলিশ এবং প্রেস ঘটনাস্থলে যেয়ে দ্যাখে এক বৃ্দ্ধ তাদের সবাই কে কবর দিয়ে দিয়েছে ।
পুলিশ বৃ্দ্ধ কে জিগেস করে- কেউ বেঁচে নেই?
বৃ্দ্ধ- নাহ, তবে ওদের নেতা বলছিল যে সে বেঁচে আছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি.। জানেন ই তো নেতারা সবসময় মিথ্যা বলে.।
এবার একটা করুন বাস্তবতার রম্য চিত্রে এ আসি-
কিছুদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-
'দেশে দ্রব্য মুল্য সহনীয় পর্যায়ে আছে, এবং জনগন বেশি করে খাচ্ছে।'
এবার প্রধান্মন্ত্রী এর পুরান আর একটা কউতুক এ আসি-
নীর্বাচন এর আগে প্রতিশ্রুতী হিসেবে বললেন-
'আওআমী লীগ কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ১০ টাকা কেজি চাল/ডাল খাওয়াব।'
বর্তমানের দ্রব্য মুল্যের সামান্য তথ্য(যা সবার ই জানা)-
চাল- ৫০ টাকা কেজি
ডাল- ১২০ টাকা কেজি
তেল- ১২০ টাকা লিটার
পেয়াজ- ৫০ টাকা কেজি
মরিচ- ২০০ টাকা কেজি
এক কেজি সবজির দামের সাথে ২০ টাকা যোগ করলে এক কেজি পোলটি মুরগির মাংসের দাম হয়।
একজন রিকশা ওয়ালা দিনে খুব বেশি হলে ২০০ টকা আয় করেন।দিন মজুর ১৪০ টাকা আয় করেন।বাংলাদেশ এর প্রায় ৫০ ভাগ লোকের দৈনিক আয় ১৪০ এর নিচে। এমতাবস্থায় একটা পরিবার কিভাবে তিনব্যালা পেটপুরে খেয়ে বেঁচে আছে [প্রধানমঅন্ত্রী এর ভাষ্য মতে] তা আমি বুঝতে পারছিনা।
বর্তমান অবস্থা্য আমরা হাসব না কাঁদব বুঝতাছিনা।শুনেছি আজকাল মানুষ তিন বেলার স্থানে অনেকে দুবেলা খায়।
আরও কিছু তথ্য দেই- গত বছর ইন্ডিয়া থেকে ৫০০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়।এবং ২৪ টাকা দরে সরকারি ভাবে বিক্রি করা হয়।যার পুর অংশটাই ছিল পঁচা।রান্না করার ২ ঘন্টার মাঝেই ভাত নস্ট হয়ে যেত।
ইন্ডিয়ার পঁচা চাল যা সেই দেশের গরু, ছাগল ও খায়নি তা আমার দেশের মানুষ গোগ্রাসে খেয়েছে।
ব্রাজিলের গমের কথাতো কম বেশি সবারই জানা।
পদ্মা সেতুর ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতি, সুরঞ্জিজিত বাবুর কালো বিড়াল প্রসঙ্গ, বাদ দিয়ে এদেশে শিক্ষাকে করা হয় বানিজ্য । শিক্ষার উপর আরোপ করাহয় শুল্ক .........
এরকমের অনেক কিছুই আছে যা সাধারন মানুষের জানা নেই.........
মাননীয় ,
বাংলাদেশের এই ৫০ ভাগ মানুষ আপনার কাছে প্রতি সন্ধায় হুইস্কি বা বিয়ার, বোতল বন্দি পার্টি চায়নি, প্রতিমাসে একবার সিঙ্গাপুর এ ৫ তারা হটেল এ ঘুরতে যাওয়ার খরচ চায়নি, রাত কাটানর জন্য তরতাজা তরুন বা তরুনী চায়নি, সংসদ সদস্যদের আসাধু উপায়ে আয় করা টাকার ট্যক্স চায়নি, তাদের সন্তান দের স্ক্লাস্টিকা বা এন এস ইউ তে পরানোর খরচ চায়নি।
আপনার কাছে শুধু ৩ ব্যালা পেটপুরে ভাত খেতে চেয়েছে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আমার দেশের মানুষ সহজ সরল। কিন্তু যখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায় আমরা তখন ভয়ঙ্কর রুপ নিতে পারি, এর আগে জনগন বহুবার এর প্রমান দিয়েছে।
প্রধান মন্ত্রী জনাবা, ফাকা বুলি না দিয়ে,দয়া করে আমাদের ৩ ব্যালা পেটপুরে খাওয়ার বাবস্থা করেন।
নইলে রফিক আজাদ এর মত কয়েক কোটি মানুষ বলবে
' ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো'
No comments:
Post a Comment